সেদ্ধ ডিমের ডায়েট কী?
কিভাবে করবেন এই ডায়েট
একদিনে সেদ্ধ ডিমের একাধিক
পরিবেশন করা ছাড়াও এই ডায়েটে অন্য স্বল্প-ক্যালরিযুক্ত পুষ্টির উৎস যেমন
পাতলা প্রোটিন এবং স্টার্চিবিহীন শাকসবজি খেতে পারেন। এই খাবার পরিকল্পনায়
কিছু স্বল্প-ক্যালোরি ফলও অনুমোদিত। এই ডায়েটে ব্ল্যাক/গ্রিন বা চিনি ছাড়া
কফি থাকতে পারে। চর্বি, তেল, ভেষজ খেতে পারেন, তবে তা স্বল্প পরিমাণে।
উচ্চ শর্করা জাতীয় খাবার যেমন শস্য, কিছু শাকসবজি এবং ফল খাওয়া যাবে না। প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। ডায়েটটি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে আপনি কয়েক সপ্তাহের জন্য নির্দিষ্ট খাবারেই সীমাবদ্ধ থাকেন এবং তারপরে আস্তে আস্তে স্বাস্থ্যকর খাওয়ার ধরনে ফিরে আসবেন।
এটি কীভাবে কাজ করে?
সেদ্ধ ডিমের ডায়েট দুইভাবে
কাজ করে - ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ এবং স্বল্প-কার্বোহাইড্রেট খরচ। ডিম,
স্টার্চবিহীন সবজি এবং ডায়েট প্ল্যানের অন্যান্য উপাদানগুলোর ক্যালোরির
তুলনামূলক কম। তাই এটি শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি করতে পারে। যা আদর্শ ওজন
হ্রাসের ভিত্তি পরিকল্পনা।
দ্বিতীয়ত, কম কার্বযুক্ত খাবার খেলে তা ওজন কমানোকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে। ডিম আপনার সামগ্রিক খাদ্য গ্রহণ সীমিত করে, দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখে।
এই ডায়েটের একটি সুবিধা হলো, এটি আপনাকে প্রক্রিয়াজাত বা অস্বাস্থ্যকর অ্যাডিটিভ যেমন চিনি বা অত্যধিক ক্যাফেইন খাওয়া থেকে বিরত রাখে।
এই ডায়েটে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো, এর সীমাবদ্ধ প্রকৃতি। ডায়েটে কম-ক্যালোরি, কম-কার্ব জাতীয় খাবার থাকে এবং অন্যান্য খাবারকে দূরে রাখতে বলে। এই জাতীয় ডায়েটের কাজটি স্বল্প সময়ে ওজন কমানোর গতি বাড়িয়ে তুলতে পারে, তবে প্রতিরোধমূলক ডায়েটগুলো দীর্ঘকাল ধরে টেকসই হয় না। কেউ কেউ নিয়ন্ত্রিত ডায়েট অনুসরণ করার পরও ওজন বাড়িয়ে তোলেন।
এই ডায়েটের বিধিনিষেধগুলো পুষ্টির ঘাটতির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি শক্তি হ্রাস করতে পারে, যে বিষয়ে সতর্ক হওয়া দরকার। কিছুদিন পরে ডায়েটের কাঠামোটিকেও বিরক্তিকর বলে মনে হতে পারে এবং এটি অনুসরণ করা কঠিন হতে পারে।
দিনে কতগুলো সেদ্ধ ডিম খাওয়া যাবে?
বিশেষজ্ঞদের
পরামর্শ অনুসারে, দিনে ৩টি পর্যন্ত ডিম খাওয়ার কোনো সমস্যা নেই। তবে ডিম
শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করে। তাই আপনি
কোনোরকম ক্রনিক অসুখে ভুগলে ডিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment